শুরু হয়েছে নতুন বছর ২০১৬। আর নতুন বছরকে সামনে রেখে অনেকেই তাদের ক্যারিয়ারে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছেন। যারা এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, তাদের জন্য ক্যারিয়ার বিল্ডার ও ইকোনোমিক মডেলিং স্পেশালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল (ইএমএসআই) একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় স্থান পেয়েছে এমনকি কিছু চাকরি যেগুলো ২০১৬ সালে থাকবে চাহিদার শীর্ষে।
ওয়েব ডেভেলপার :তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে ওয়েবসাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানেরই বর্তমানে ওয়েবসাইট রয়েছে। ওয়েবসাইট তৈরির কাজটি করে থাকেন একজন ওয়েব ডেভেলপার। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এই কাজের চাহিদা প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে।
অ্যাকাউন্টেন্ট ও অডিটর :প্রতিষ্ঠান যে ধরনেরই হোক না কেন, আর্থিক বিষয়াদি সেখানে থাকবেই। আর অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত হিসাব-নিকাশ করার জন্য প্রয়োজন একজন অ্যাকাউন্টেন্ট বা অডিটর। ক্যারিয়ার বিল্ডার্সের তথ্যানুসারে, প্রতি মাসে প্রায় ২৮ হাজার অ্যাকাউন্টেন্টের পদ ফাঁকা থাকে যোগ্য কর্মীর অভাবে।
নার্স :চিকিত্সা সংক্রান্ত পেশা সারা বিশ্বেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানজনক পেশা। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই রেজিস্টার্ড নার্সদেরও চাহিদা বাড়ছে বর্তমান বিশ্বে। ২০১৬ সালে এই পেশাটিও থাকবে চাহিদার শীর্ষে।
নেটওয়ার্ক ও কমিপউটার সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর :একটি কমিপউটার নেটওয়ার্ক সচল রাখতে সিস্টেম অ্যাডমিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, সে কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানই কাজের জন্য কমিপউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করে থাকে। আর তাই আনুপাতিক হারে এই পেশার চাহিদা বাড়ছে।
অকুপেশনাল থেরাপিস্ট :যেসব মানুষ বিভিন্ন ধরনের দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিত, তাদের প্রায় ৮০ শতাংশই কোন না কোন সময়ে হাড়, সন্ধি কিংবা পেশির সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। আর এসকল সমস্যায় অকুপেশনাল থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হতে হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার :শিল্প নির্ভরতা বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে শিল্প কারখানা যেখানে দরকার হচ্ছে বিপুল লোকবল। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার। শিল্প কারখানার বাইরেও এই পেশায় দক্ষ লোকদের কাজের সুযোগ রয়েছে।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার :এই পেশার চাহিদা অন্য সময়ে যেমন ছিল, তেমনি এ বছরও থাকবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি মাসে প্রায় ১৮ হাজার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের পদ ফাঁকা থাকে যোগ্য কর্মী না পাওয়ার কারণে।
সফটওয়্যার ও অ্যাপ ডেভেলপার :প্রযুক্তি যত এগিয়ে যাচ্ছে, ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে সফটওয়্যার ডেভেলপারদের চাহিদা। তবে সামপ্রতিক সময়ে স্মার্টফোন বিপ্লব ঘটে যাওয়ার কারণে এখন অ্যাপ ডেভেলপারদের চাহিদাও তুঙ্গে।
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার :একটি প্রতিষ্ঠানে দক্ষ মানবসমপদ নিয়োগ দেওয়া থেকে শুরু করে তাদের নিয়মিত তদারকি এবং দক্ষতা উন্নয়নের কাজটি করে থাকেন মানব সমপদ বিভাগের কর্মীরা। একটি প্রতিষ্ঠান কতটা সফল হবে, তার প্রায় পুরোটাই দক্ষ কর্মীর উপর নির্ভর করে। ফলে মানব সমপদ বিভাগের দক্ষ কর্মীদের চাহিদা অনেক।
ফিনান্সিয়াল ম্যানেজার :একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা তদারকি, বিনিয়োগ কিংবা অর্থ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকভাবে লাভবান রাখার কাজটি করে থাকেন একজন অর্থ ব্যবস্থাপক। বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এই পদে দক্ষ কর্মীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে চাহিদা সত্তেও দক্ষ কর্মীর সংকট প্রবল।
ফার্মাসিস্ট :চিকিত্সা খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের নাম ফার্মাসিস্ট। বিভিন্ন রোগীর রোগ অনুপাতে ঔষধ নির্ধারণ এবং রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। উন্নত বিশ্বের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশেও এই পেশার গুরুত্ব বাড়ছে।
মার্কেটিং ম্যানেজার :বিভিন্ন পণ্যের বিক্রির প্রসার ঘটাতে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন কিংবা অন্যান্য ক্যামেপইন আয়োজন এবং দেখভাল করেন এখন মার্কেটিং ম্যানেজার। একজন মার্কেটিং ম্যানেজার কোন একটি পণ্যের জন্যও কাজ করতে পারেন কিংবা একই ধরনের একাধিক পণ্যের বিক্রয়
বাড়াতে কাজ করতে পারেন। একটি প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে মার্কেটিং ম্যানেজার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। একজন মার্কেটিং ম্যানেজার গড়ে প্রতি ঘণ্টায় ৬০-৬৫ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ :তথ্য প্রযুক্তি যত এগিয়ে যাচ্ছে, ততই বাড়ছে সাইবার আক্রমণ। গত বছর বিশ্বের নামকরা অনেক প্রতিষ্ঠান সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছিল। ২০১৬ সালে সাইবার আক্রমণের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান এ বছর নিজেদের তথ্যের নিরাপত্তায় সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেবে।
Post Credit
ওয়েব ডেভেলপার :তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে ওয়েবসাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানেরই বর্তমানে ওয়েবসাইট রয়েছে। ওয়েবসাইট তৈরির কাজটি করে থাকেন একজন ওয়েব ডেভেলপার। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এই কাজের চাহিদা প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে।
অ্যাকাউন্টেন্ট ও অডিটর :প্রতিষ্ঠান যে ধরনেরই হোক না কেন, আর্থিক বিষয়াদি সেখানে থাকবেই। আর অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত হিসাব-নিকাশ করার জন্য প্রয়োজন একজন অ্যাকাউন্টেন্ট বা অডিটর। ক্যারিয়ার বিল্ডার্সের তথ্যানুসারে, প্রতি মাসে প্রায় ২৮ হাজার অ্যাকাউন্টেন্টের পদ ফাঁকা থাকে যোগ্য কর্মীর অভাবে।
নার্স :চিকিত্সা সংক্রান্ত পেশা সারা বিশ্বেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানজনক পেশা। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই রেজিস্টার্ড নার্সদেরও চাহিদা বাড়ছে বর্তমান বিশ্বে। ২০১৬ সালে এই পেশাটিও থাকবে চাহিদার শীর্ষে।
নেটওয়ার্ক ও কমিপউটার সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর :একটি কমিপউটার নেটওয়ার্ক সচল রাখতে সিস্টেম অ্যাডমিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, সে কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানই কাজের জন্য কমিপউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করে থাকে। আর তাই আনুপাতিক হারে এই পেশার চাহিদা বাড়ছে।
অকুপেশনাল থেরাপিস্ট :যেসব মানুষ বিভিন্ন ধরনের দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিত, তাদের প্রায় ৮০ শতাংশই কোন না কোন সময়ে হাড়, সন্ধি কিংবা পেশির সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। আর এসকল সমস্যায় অকুপেশনাল থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হতে হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার :শিল্প নির্ভরতা বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে শিল্প কারখানা যেখানে দরকার হচ্ছে বিপুল লোকবল। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার। শিল্প কারখানার বাইরেও এই পেশায় দক্ষ লোকদের কাজের সুযোগ রয়েছে।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার :এই পেশার চাহিদা অন্য সময়ে যেমন ছিল, তেমনি এ বছরও থাকবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি মাসে প্রায় ১৮ হাজার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের পদ ফাঁকা থাকে যোগ্য কর্মী না পাওয়ার কারণে।
সফটওয়্যার ও অ্যাপ ডেভেলপার :প্রযুক্তি যত এগিয়ে যাচ্ছে, ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে সফটওয়্যার ডেভেলপারদের চাহিদা। তবে সামপ্রতিক সময়ে স্মার্টফোন বিপ্লব ঘটে যাওয়ার কারণে এখন অ্যাপ ডেভেলপারদের চাহিদাও তুঙ্গে।
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার :একটি প্রতিষ্ঠানে দক্ষ মানবসমপদ নিয়োগ দেওয়া থেকে শুরু করে তাদের নিয়মিত তদারকি এবং দক্ষতা উন্নয়নের কাজটি করে থাকেন মানব সমপদ বিভাগের কর্মীরা। একটি প্রতিষ্ঠান কতটা সফল হবে, তার প্রায় পুরোটাই দক্ষ কর্মীর উপর নির্ভর করে। ফলে মানব সমপদ বিভাগের দক্ষ কর্মীদের চাহিদা অনেক।
ফিনান্সিয়াল ম্যানেজার :একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা তদারকি, বিনিয়োগ কিংবা অর্থ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকভাবে লাভবান রাখার কাজটি করে থাকেন একজন অর্থ ব্যবস্থাপক। বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এই পদে দক্ষ কর্মীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে চাহিদা সত্তেও দক্ষ কর্মীর সংকট প্রবল।
ফার্মাসিস্ট :চিকিত্সা খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের নাম ফার্মাসিস্ট। বিভিন্ন রোগীর রোগ অনুপাতে ঔষধ নির্ধারণ এবং রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। উন্নত বিশ্বের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশেও এই পেশার গুরুত্ব বাড়ছে।
মার্কেটিং ম্যানেজার :বিভিন্ন পণ্যের বিক্রির প্রসার ঘটাতে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন কিংবা অন্যান্য ক্যামেপইন আয়োজন এবং দেখভাল করেন এখন মার্কেটিং ম্যানেজার। একজন মার্কেটিং ম্যানেজার কোন একটি পণ্যের জন্যও কাজ করতে পারেন কিংবা একই ধরনের একাধিক পণ্যের বিক্রয়
বাড়াতে কাজ করতে পারেন। একটি প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে মার্কেটিং ম্যানেজার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। একজন মার্কেটিং ম্যানেজার গড়ে প্রতি ঘণ্টায় ৬০-৬৫ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ :তথ্য প্রযুক্তি যত এগিয়ে যাচ্ছে, ততই বাড়ছে সাইবার আক্রমণ। গত বছর বিশ্বের নামকরা অনেক প্রতিষ্ঠান সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছিল। ২০১৬ সালে সাইবার আক্রমণের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান এ বছর নিজেদের তথ্যের নিরাপত্তায় সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেবে।
Post Credit
২০১৬ শীর্ষে থাকবে যেসব পেশা
Reviewed by Chef
on
8:06:00 PM
Rating:

No comments: